বাংলাদেশ রিপোর্ট | বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী আমেরিকান কমিউনিটিতে অত্যন্ত পরিচিত একটি নাম এটর্নী মঈন চৌধুরী । নিউইয়র্ক, নিউ জার্সি, মিশিগানসহ যুক্তরাষ্ট্রের ৮টি স্টেটে তিনি সুনামের সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন আইন ব্যবসা। কমিউনিটিতে তার মতো আরো অনেকেই আছেন একই পেশায়। কিন্তু এটর্নী মঈন চৌধুরী আলোচিত তার ব্যতিক্রমী উদ্যোগের কারণে। তিনি কমিউনিটির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পৃষ্ঠপোষকতা করেন। বিশেষ করে সিয়াম সাধনার পবিত্র মাস রমজানে নিউইয়র্ক সিটির বিভিন্ন মসজিদে ইফতার আয়োজন করেন তিনি। শুধু ইফতার আয়োজন করা নয়, তিনি চেষ্টা করেন প্রতিটি ইফতারে সকলের সঙ্গে শামিল হতে। বিগত কয়েক বছর ধরে তিনি ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ গ্রহণ করে আসছেন।
এবারের রমজান মাসেও তিনি অংশীদার হয়েছেন কমপক্ষে ২০টি মসজিদে ইফতার মাহফিলে । এজন্য প্রায় প্রতিদিনই তিনি ছুটে বেড়িয়েছেন নিউইয়র্ক সিটির প্রত্যন্ত এলাকার মসজিদ ও পার্টি সেন্টারগুলোতে। বাংলাদেশ আমেরিকান পুলিশ এসোসিয়েশন-বাপাসহ বিভিন্ন সামাজিক, আঞ্চলিক ও পেশাজীবী সংগঠন আয়োজিত ইফতার মাহফিলগুলোতে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন পৃষ্ঠপোষক হিসেবে। পুরো রমজান মাস জুড়েই মসজিদগুলোতে ইফতারে বিপুল সংখ্যক মুসল্লির সমাগম ঘটে।
রমজান মাসে এটর্নী মঈন চৌধুরী বাংলাদেশেও এ ধরনের কার্যক্রমে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন দীর্ঘদিন ধরেই। বিশেষ করে তার নিজ জেলা হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায়। রমজানে লাখাইয়ের ৭টি মসজিদে সারা মাসজুড়ে ইফতারের আয়োজন করা হয় তার অনুদানকৃত অর্থে। এছাড়া এই উপজেলার প্রতিটি মসজিদ ও মক্তবে ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের তিনি আর্থিকভাবে সহযোগিতা করছেন। নিজ গ্রামে মসজিদ গড়েছেন তিনি। রমজানে দেশে এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন এই আইন ব্যবসায়ী। তিনি মনে করেন, মানুষের সেবা ও সহযোগিতার মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকার আনন্দানুভূতি ভিন্নতর।
এটর্নী মঈন চৌধুরী শুধু রমজান মাসেই নয়, সারা বছর তিনি নিউইয়র্কের বিভিন্ন সংগঠনের অনুষ্ঠানাদিতে পৃষ্ঠপোষকতা করেন উদারভাবে । ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। গ্রীস্মে বনভোজনের মওসুমে প্রতিবছর তিন শতাধিক সংগঠনের সঙ্গে তিনি নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। বনভোজনে র্যাফেল ড্র’র পুরস্কার ও আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা করতে সাচ্ছন্দ বোধ করেন তিনি। এসবের মধ্য দিয়ে তিনি কমিউনিটিতে নিজের সেবাব্রতার অবস্থান সংহত করেছেন।উল্লেখ্য, কুইন্স কাউন্টি ডেমোক্রেটিক পার্টির ডিষ্ট্রিক্ট লিডার অ্যাট লার্জ মঈন চৌধুরী ইনজুরি ও ইমিগ্রেশন ক্ষেত্রে এটর্নী হিসেবে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন। বাংলাদেশী আমেরিকান কমিউনিটির সেবায় নিজেকে অধিকতর সম্পৃক্ত করতে আগ্রহী এই আইন ব্যবসায়ী।
Posted ১০:৩৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh